এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : মেয়ের সাথে কলেজ ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় মা-মেয়ে ও প্রেমিক মিলে পরিকল্পিতভাবে খুন করে আনোয়ার হোসেন নামে এক ইউপি মেম্বারকে। ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে। নিহত আনোয়ার হোসেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা মালিয়াট ইনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি মেম্বার। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল বারেক মন্ডলের ছেলে এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) পুলিশ নিহত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৪৮), মেয়ে সুরাইয়া ইয়াসমিন মিতু (২৩) ও মেয়ের প্রেমিক সাজ্জাদ হোসেন (২৫) কে গ্রেপ্তার করে। প্রেমিক সাজ্জাদ হোসেন বারোবাজার কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও পার্শ্ববর্তী পাচকাহুনিয়া গ্রামের শেখ আব্দুল সাত্তারের ছেলে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কালীগঞ্জ থানার এসআই প্রকাশ কুমার।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই বুধবার দুপুরে কালীগঞ্জে গলা কেটে আনোয়ার হোসেনের নামে এক ইউপি মেম্বারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর পুলিশ, পরিবার ও প্রতিবেশীরা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেয়ায় রহস্যের সৃষ্টি হয়। সংবাদ পেয়ে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার দিন প্রতিবেশিরা জানায়, তার পরিবারের সদস্যরা হত্যা করে ভিন্ন ঘটনা সাজিয়ে প্রচার করছে।
ওইদিন নিহতের ভাইরা ভাই মুজিদ হোসেন জানান, কয়েক মাস আগে স্ট্রোক করার পর থেকে সে অসুস্থ ছিল। একদিন আগে যশোর সিএমএইচ থেকে ডাক্তার দেখিয়ে আনা হয়। দুপুরে ঘরের মধ্যে পড়ে গিয়ে সো-কেসের গøাস ভেঙ্গে গলা কেটে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে যশোর নেয়ার পথে মারা যান।
একই দিন কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, নিহত ব্যক্তি তিন মাস আগে স্ট্রোক করে যাশোর সিএমএইচ এ চিকিৎসাধিন ছিলেন। ঘটনার দিন রাতে অসুস্থতার কারণে ঘুম না হওয়ায় আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুপুরে ঘরের ভিতরে উঠে দাড়াতে গেলে মাথা ঘুরে সো-কেসের গøাসের উপর পড়ে যায়। এতে গøাস ভেঙ্গে তার গলাই ঢুকে মারা যান।
Leave a Reply